softdeft

কৈফিয়ত ও আগামীর পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন মেয়র প্রার্থী রিটন

কৈফিয়ত ও আগামীর পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন মেয়র প্রার্থী রিটন

প্রতিনিধি: আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেহেরপুর পৌরসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ মাহফুজুর রহমান রিটন সাংবাদিকদের সাথে কৈফিয়ত ও আগামীর পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে কৈফিয়ত ও আগামীর পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।

এসময় মেহেরপুর বাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেয়র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, বিগত ৫ বছর আমাকে মেয়র নির্বাচিত করে পৌরবাসীর সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। দীর্ঘ সময় নাগরিক সম্মান, অধিকার ও প্রয়োজনীয় উন্নয়ন বঞ্চিত পৌরসভার নির্বাচন ২০১৭ সালে বহু কষ্ট করে, অনেক অর্থ ক্ষতি করে এনেছিলাম । যথা সময়ে নির্বাচন হবে পৌরবাসী মেয়র সহ পরিষদ নির্বাচন করবে এটাই স্বাভাবিক চাওয়া। কিন্তু বিগত সময়গুলোতে পৌরবাসীর কষ্টার্জিত ট্যাক্সের টাকা দিয়ে পৌরসভার উন্নয়ন না করে নিজ ক্ষমতা অহংকার কুক্ষিগত করতে ব্যাপক অর্থ মামলা মোকদ্দমায় ব্যয় করে পৌরবাসীর ভোটাধিকার হরণ করে রাখা হয়েছিল।

আমি সেখান থেকে সরে এসে পৌরবাসীর নাগরিক ভোটাধিকার , সম্মান এবং ভালোবাসার প্রতি অস্থাশীল থেকে যথা সময়ে ও যথা নিয়মে ভোটের অধিকার প্রয়োগে সকল প্রকার সহায়ক ভূমিকা গ্রহন করেছি। তিনি আরও বলেন, আগামী ১৫ জন মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং মানবতার জননী দেশরত্ন- মানব প্রেমিক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নেীকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছি। বিগত নির্বাচনে আমার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আমি সর্বদা সচেষ্ট থেকে বহু কাজ সফল ভাবে শেষ করতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৭ সালে কি অবস্থা ছিল তা আপনাদের চলাচলের প্রতিটি সড়ক, উপসড়ক, গলিপথের দিকে দৃষ্ঠিদিলে তার প্রমান মিলবে। মেহেরপুর পৌরসভাকে অহংকারমুক্ত, মানবিক জনপ্রতিনিধিত্বের সেবক হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছি। শুধুমাত্র নাগরিক সনদ, পরিচ্ছন্নতা বা উন্নয়নই নয়এর পাশাপাশি একজন মেয়র হিসেবে আমি সকল মানুষের প্রয়োজনে, বিপদ- আপদে, চিকিৎসা-শিক্ষা- বিয়ে, হুইল চেয়ার অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং মানবিক সংকটে মানুষের পাশে থেকে সাহস জোগাতে তৎপর থেকেছি। বিগত প্রায় ২ বছর করোনা সংটকালীন সময়ে মহান আল্লাহর প্রতি অস্থাশীল থেকে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছুটে গিয়েছি দিনে- রাতে, প্রকাশ্যে এবং গোপনে যেন কোন মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে দুদ্শার মধ্যে না থাকে। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এসময় সেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব মোঃ গোলাম রসুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, পিপি পল্লব ভট্রাচার্জ, শহর আওয়মী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, যুব লীগের সাবেক সাভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, জেলা যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম (পেরেশান), শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, মেহেরপুর জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

Total Page Visits: 731 - Today Page Visits: 5