প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের অধীন মেহেরপুর মুজিবনগর কিশোর-কিশোরী ক্লাবে শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার বরাদ্দের অর্থ কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৪ ইউনিয়নর ৪ টি ক্লাবে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য প্রতিদিনের নাস্তার জন্য ৩০ টাকার খাবার বরাদ্দ থাকলেও অর্ধেক টাকায় নাস্তা দেওয়া হয় এমনই অভিযোগ তুলেছেন প্রশিক্ষণার্থীরা।
এছাড়া ক্লাবের অধিকাংশ বরাদ্দের টাকার কোনও হিসাব নেই কারও কাছে। এতে ক্ষোভ ছড়িয়েছে ক্লাবের শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকদের মধ্যে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, এ প্রকল্পের সব বরাদ্দই সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রান্তিক পর্যায়ে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সৃজনশীল ও গঠনমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল এবং দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে মুজিবনগর চালু হয় কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কার্যক্রম। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের আওতায় সব ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি ক্লাবে ৩৫ জন করে মুজিবনগর ৪ টি ক্লাবে অন্তত ১৪০ জন কিশোর-কিশোরী সপ্তাহে দুইদিন বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ৩০ টাকার পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের কথা থাকলেও স্বল্প পরিমান খাবার সরবরাহ করছেন কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের প্রতিদিন যে নাস্তা দেয়া হয় তার মুল্য সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। বাকি টাকার কোন হদিস নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষিকা বলেন, আমরা এর আগেও ৩০ টাকা করে নাস্তা দিতাম কিন্তু এখন যেভাবে আসছে সে ভাবে দেয়া হচ্ছে। আর এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে আমাদের স্যারের সাথে কথা বলেন আমরা কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, খাবার সরবরাহে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানে সুনাম ক্ষুন্ন করতে কে বা কারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।