softdeft

মুজিবনগর-দর্শনা সড়ক প্রশস্তকরণ ও নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

মুজিবনগর-দর্শনা সড়ক প্রশস্তকরণ ও নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

দর্শনা-মুজিবনগর সড়ক প্রশস্ত ও নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। শুরুতেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজের অভিযোগ ওঠে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের ১৩ মাস আগে হলেও তা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। টানা ১৩ মাস কালভাট নির্মাণ কাজেই সময় কেটে গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। দীর্ঘ সময় পর সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয় যেনতেনভাবে। অবশেষে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ইউএনও’র প্রতিনিধি দল। সড়ক নির্মাণ কাজের উপকরণ ইট, বালু ও খোয়ার আলামত উদ্ধার করে পাঠানো হবে পরীক্ষাগারে। ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর দর্শনা-মুজিবনগর মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। ১৪৯ কোটি টাকা ব্যায়ে এলাকাবাসীর স্বপ্নের এ সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে বছর নেক আগেই রাস্তার দুধারের অবৈধ দোকান-পাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যায়ে এ কাজ পান মেহেরপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জহিরুল ইসলাম। দীর্ঘ এ সময়ের মধ্যে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ১২টি কালভাট (পোল) নির্মাণ কাজ শেষ করা হলেও গলাইদড়ি ব্রিজের কাজ সবে করেছে। দর্শনা মুজিবনগর সড়ক টু-লেন রাস্তার কাজ দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থেকে নাটুদাহ ২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ শত ২০ কোটি টাকা ব্যয় ও মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার কাজ ২৯ কোটি টাকা। ফলে সর্বমোট ব্যায় ১ শত ৪৯ কোটি টাকা। কবে নাগাদ এ ব্রিজ নির্মাণ শেষে হতে পারে তা নিশ্চিত বলতে পারেনি কেউ। সম্প্রতি সড়ক প্রশস্তকরণ ও নির্মাণ কাজের জন্য দুধারে মাটি খনন করে বালু ও খোয়া দিয়ে ভরাট শুরু করেছে। নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহারে ওঠে অভিযোগ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তারের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তদন্তে আসে প্রতিনিধিদল। দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত সিংহের নেতৃত্বে এ দলের আরো ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান, কার্য-সহকারী রমজান আলী, চুয়াডাঙ্গা রোড এ্যান্ড হাইওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজ, সাইড ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম। সড়কের দর্শনার অদুরে গোপালখালী ব্রিজের কাছে তদন্ত করেন এ দলের সদস্যরা।

বালু ও খোয়ার আলামত উদ্ধার করেন তারা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার জানান, সড়ক নির্মাণ সামগ্রী উদ্ধার করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Total Page Visits: 902 - Today Page Visits: 8