softdeft

মুজিবনগরে এক খরচে সাথী ফসলের চাষ

মুজিবনগরে এক খরচে সাথী ফসলের চাষ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত পরিচিত। সবজি ফসল হিসেবে উপজেলার সবচেয়ে বেশী উৎপাদন হচ্ছে পেঁয়াজ চাষ । প্রায় সব ধরনের চাষ করে থাকে এই উপজেলার চাষীরা। আবার শীত কালীন সবজি চষেও পিছিয়ে নেই এখানকার কৃষকরা। অন্যান্য চাষের পাশাপাশি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে পেঁয়াজ চাষে ।

পেঁয়াজের সাথেই সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজের জমিতেই কলা ও কচু চাষ করছেন এখানকার কৃষকরা । এক খরচে দুই ফসল ঘরে তুলে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা ।গত বছরে এ উপজেলায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষ করেছিল ১১৫০ হেক্টর। সে তুলনায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষ করেছেন ১৫০০ হেক্টর ।

চলতি মৌসুমে সাথী ফসল পেঁয়াজ ও কলা ৬০০ হেক্টর জমিতে চাষ করেছেন কৃষকরা ।

কেউ কেউ সেই চারা খেতে লাগাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ খেত আগাছামুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। তবে এবার মহামারি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এক সাথে দুই ফসল পেঁয়াজ ও কলা চাষে কৃষকরা মণ প্রাণ সপে দিয়ে কাজ করছেন মাঠে।

উপজেলার একাধিক গ্রাম ঘুরে পেঁয়াজের জমিতে কৃষকদের কর্মব্যস্ততার এমন দৃশ্য ওঠে আসে।
পেঁয়াজ চাষী রামনগর গ্রামের মিনারুল ইসলাম জানান সুকসাগর পেঁয়াজে খরচের সংখ্যা বেশি জমি চাষ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত বিঘা পতি খরচ হয় ৪৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, তাই আমরা পেঁয়াজের জমিতে কলার বোগ লাগাই যাতে করে পেঁয়াজ চাষের খরচে কলা চাষ টাও উঠে আসে যে কোন একটি ফসলে যদি ভালো দাম না পায় তাহলে আরেকটির উপর ভরসা থাকে পুরো ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তাই আমারা এক সাথে দুই ফসলের চাষ করি।এবং এক সাথে দুই ফসলে আমারা লাভবান হই
চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সুকসাগর পেঁয়াজে ভাল উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছেন পেঁয়াজ চাষী মিনারুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলার কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান বলেন,
এ বছর আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূলে কৃষকরা বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা পরিচর্যা সুষ্ঠু ভাবে করতে পারছে। তেমন কোন রোগবালাই নেই। এক সাথে দুই ফসল চাষে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিই যেমন কলার সাথে পেঁয়াজ কচুর সাথে পেঁয়াজ, কলার সাথে হলুদ এক কথায় একটার সাথে আরেকটা চাষের সুযোগ থাকে সেগুলোর সাথে সাথী ফসল চাষে আমরা সবধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি পাশাপাশি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রদর্শনী দিয়ে সহযোগিতা করি যাতে করে আরেক জন কৃষক এটা দেখে সাথী ফসল এক সাথে দুই ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ হয় । এবং মাঠ পর্যায়ে উপ সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার মাধ্যমে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। এখন অল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে ভরা মৌসুমে কৃষকরা ভালো দাম পাবে বলে আশা করছি।

Total Page Visits: 800 - Today Page Visits: 6