মেহেরপুর সদর উপজেলা তেরঘরিয়া গ্রামে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া ১২ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণকারী রিগানকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ধর্ষনের ঘটনার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাত সাড়ে নয়টায় গাংনীর খাসমহল গ্রাম থেকে তাকে আটক করে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি চৌকস দল।
আটক রিগান হোসেন সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামের কালাম আলীর ছেলে। সে ওই শিশুটির চাচাতো মামা।
গোয়েন্দা পুলিশের এস আই আশরাফের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে
বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে খাসমহল সীমান্ত গ্রাম থেকে শিশু ধর্ষন মামলার আসামি সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামের রিগ্যান কে আটক করেছে।
ডিবি এস আই আশরাফ জানান,, নারকীয় ধর্ষনের পর গাঢাকা দেয় অভিযুক্ত রিগান। পরে খাসমহল গ্রামে তার এক আত্মীয়র বাড়ী থেকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা গেছে,
চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু তিন দিন আগে পার্শ্ববতী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তেরঘরিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায় । বুধবার দুপুরে নানার বাড়িতে সে একাই ছিল। এ সময় প্রতিবেশী আপন চাচাতো মামা রিগান ওই বাড়িতেই তার হাত পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির নানি এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।