মেহেরপুর-১ আসনের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা চলছে। পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর মারধর এবং ক্ষেতের ফসল তসরুপাত করা হচ্ছে। এই সহিংসতা বন্ধ না হলে আওয়ামী লীগের মধ্যেই গৃহযুদ্ধ শুরু হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেহেরপুর-১ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর শহরের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচনের ভোট গ্রহনের শেষ হয় ৪টায়। কিন্তু একটি কেন্দ্রের নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে ৪টা ১৯ মিনিটের সময়। এতে করে কি মনে হয় না, নির্বাচনের ভোট গণনা না করে যথারীতি ফল দেওয়া হয়েছে। আমরা নির্বাচন করেছি আমাদের মধ্যে। আওয়ামীলীগের ভেতরে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী উনি এখানে সাজিয়ে রেখেছেন। সেই শয্যার ভিতর থেকে আমরা বের হতে পারি নি। অন্য কোন লোকের বাড়িতে আক্রমণ হচ্ছে না। আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতেই আক্রমণ হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, গতকাল রাতে বাগোয়ান গ্রামে সংঘর্ষসহ বিভিন্ন গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও ক্ষেতের ফসল তসরুপাত করা হয়েছে। বিজয়ী প্রার্থী ফরহাদ হোসেন এখনো জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। তাই সহিংসতা দমনে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। এতে প্রতিটি গ্রামে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা মামলা দিয়েছি। আমাদের নেতা-কর্মীরা আতঙ্কে ভয়ে রয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ সুপারকে আমরা বলেছি, মেহেরপুরে ও মুজিবনগরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। আপনারা যদি অবিলম্বে এটাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে না পারেন তাহলে একসময় ঘরে ঘরে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করছি। এই জনপদ একটি রক্তক্ষয়ী অবস্থার মধ্যে চলে যাবে। তিনি আরো বলেন, মেহেরপুরের যে পৌর অফিস সেটি তো মেয়রের অফিস সেটি তো মাহাফুজুর রহমান রিটনের অফিস না। তারা বলছে যে সেখানে তারা তালা লাগিয়ে দেবে। আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে সেগুলো আমরা ফেস করছি বলেও সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাড. মিয়াজান আলী ও আব্দুল মান্নান, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।