softdeft

হেফাজত বিএনপির নেতৃত্বে শক্ত দানা বেধেছে- মাহাবুবুল আলম হানিফ

হেফাজত বিএনপির নেতৃত্বে শক্ত দানা বেধেছে- মাহাবুবুল আলম হানিফ

ফোকাস মেহেরপুর: হেফাজত-জামায়াত, বিএনপি এরা এক এবং অভিন্ন। হেফাজত জামায়াত বিএনপির বিটিম। এরা প্রত্যেকেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। যারা হেফাজতে আছে তারা সংবিধানকে মানতে চাইনা, তারা জাতীয় সংঙ্গীত গাইতে চাইনা, তারা জাতীয় পতাকাকে সম্মান করতে চাইনা। এগুলো বিএনপির নেতৃত্বে শক্ত দানা বেধেছে। ২০১৩ সালে যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে সাাজা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এই ধর্ম ব্যবসায়ী যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করে এই দেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিনত করতে চাই । তাদেরকেও আমরা আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দাঁত উপড়ে ফেলে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে সৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানোর পর মুজিবনগরে নির্মিত শেখ হাসিনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন তিনি দলীয় পতাকা এবং মাহবুবুল আলম হানিফ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এক প্রেস বিফ্রিং এ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ এমপি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় দাড়িয়েও স্বাধীনতা বিরোধি শক্তির আস্ফালন দেখছি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে ধর্মকে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশিল করার চেষ্টা করছে তারা। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল, যারা বাংলাদেশের সংবিধান মানতে চাইনা, যারা এখনো জাতীয় পতাকাকে সম্মান করতে চাইনা তারা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে থাকার অধিকার রাখে না। হেফাজত বলেন আর জামায়াত বলেন, এরা সবই স্বাধীনতা বিরোধী। স্বাধীনতা বিরোধীদের বীজ অনেক গভীরে চলে গেছে।

তিনি বলেন, এজন্য স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও তাদের আস্ফালন দেখতে হচ্ছে। স্বাধিনতার সুবর্নজয়ন্তিতে এসে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন দেশ উন্নয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে। ঠিক সেই সময় উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য একাত্তরের পরাশক্তিরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিষ দাত উপড়ে ফেলে দিয়ে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক জীবন এবং এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল তার আসল বাস্তবতা।
এসময় তিনি আরও বলেন, ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাঙালি জাতির কাছে একটি স্বরনীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠনের পর ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই মুজিবনগরে সেই সরকার শপথ গ্রহন করেন। সেই সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাত্র ৯ মাসে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ লাভ করি।

এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনের সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর-২ এর সাবেক এমপি মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা আনছার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্টে রাকিবুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের আহবায়ক শাহিদুল ইসলাম পেরেশান, সরফরাজ হোসেন মৃদুলসহ দলীয় নেতাকর্মী।
এর আগে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।পরে সকাল সাড়ে দশটার দিকে মাহাবুবুল আলম হানিফ এর নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় বিউগল এর সুরে বাংলাদেশর পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ন এর একটি চৌকশ দল অতিথিদের গার্ড অফ অনার প্রদান করে।

Total Page Visits: 1313 - Today Page Visits: 6