আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৩ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করেছে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।
শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমিক তথ্যের নিশ্চিত করা হয়।
গত ২ই নভেম্বর রাত ৩ টা হতে সাড়ে তিন টা পর্যন্ত আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ১০/১২ জন ডাকাত হাসুয়া করাতসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে শুকুরকান্দি নামক স্থানের রাস্তার পার্শ্ববর্তী গাছ কেটে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে কুষ্টিয়ার দিক হইতে আগত ড্রামট্রাক, আলমসাধু, হানিফ পরিবহন এবং মেহেরপুরের দিক হইতে কুষ্টিয়াগামী ড্রাম ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন আটকিয়ে গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার এবং সাধারণ যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাহাদের নিকট পঞ্চাশ হাজার টাকা লুন্ঠন করে নেয়। ড্রাম ট্রাকের একজন ড্রাইভার এবং একজন হেলপারকে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাতদের বিরুদ্ধে গাংনী থানার মামলা নং ২, ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
মামলার মূল রহস্য উৎঘাটনসহ অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গাংনী থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল একযোগে কাজ শুরু করে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মামলার মূল রহস্য উৎঘাটনসহ অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর যৌথ অভিযানে ডাকাত দলের সর্দার মোঃ আলতাফ মন্ডলকে রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানাধীন সেনপাড়া কালিতলা বাজার হতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত সর্দার আলতাফের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ৮ টি ডাকাতি মামলা এবং ১ টি অস্ত্র মামলা আছে।
পরবর্তী আভিযান চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন বড়বোয়ালিয়া থেকে রমজান ডাকাতকে গ্রেফতার করে। রমজানের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ১ টি ডাকাতি মামলা এবং ১ টি চুরির মামলা আছে মর্মে জানা যায়।
ডাকাত আলতাফ এবং রমজানকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামীদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে ফৌ. কা. বি. ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন এবং তাহাদের সহযোগী অপর ডাকাতদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন।
এই মামলার অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় ডাকাত মো: আসাদুল ইসলাম কে ৭ তারিখে রাত্র ৯ টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন জিহালা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাত আসাদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার দেখানো মতে অত্র মামলার ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী গাংনীর কামারখালি গ্রামস্থ কামারখালি সিন্দুরকোটা বড় ব্রীজের নীচ থেকে হতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত হিসেবে- কাঠের হাতলযুক্ত একটি করাত এবং ৫ (পাঁচ) টি হাসুয়া উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে।