softdeft

ঈদ শেষ হলেও গাংনীর বাজার এখনও পঁচা মিষ্টিতে সয়লাব

ঈদ শেষ হলেও গাংনীর বাজার এখনও পঁচা মিষ্টিতে সয়লাব

পবিত্র ঈদুল ফিতর কে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরে পঁচা মিষ্টির দেখা মেলার পর এবার নতুন করে আবারও পঁচা মিষ্টি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ঈদের সময় বিভিন্ন যায়গায় অর্ডার করে গাংনী বাজারে ব্যবসায়ীরা মিষ্টি আমদানি করলেও গত কয়েকদিন পূর্বে ঈদের আনন্দ শেষ হলেও বাজারে এখনও রয়েছে ঈদ উপলক্ষে তৈরি মিষ্টি। যা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
এমনটিই অভিযোগ করলেন গাংনী উপজেলার মাইলমারী গ্রামের এক ভুক্তভোগী ফারহানা শেলী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধার পূর্ব মূহুর্তে গাংনী উপজেলা শহরের আঃ মালেক স্টোর এন্ড ফল ভান্ডার থেকে মেয়ের জন্য রসগোল্লা ক্রয় করি। পরে তা বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর প্যাকেট খুলতেই নাকে আসে পঁচা দুর্গন্ধ। মিষ্টির মধ্যে ৩ টা পোকাও পাওয়া যায় বলে তিনি জানান।

এঘটনায় বুধবার (১১ মে), দুপুরের দিকে তিনি মিষ্টিগুলো গাংনী রিপোর্টার্স ক্লাবে পাঠান এবং মিষ্টির বিষয়ে বিস্তারিত খুলে বলেন। রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্যরা সত্যতা নিশ্চিত করতে প্যাকেট খুলে তা পঁচা ও দুর্গন্ধ প্রমাণিত হলে গাংনী রিপোর্টার্স ক্নাবের সাংবাদিকরা সরেজমিনে মালেক স্টোরে যান। এতে মালেক স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী সাংবাদিকদের সামনে তার ভুল স্বীকার করে ও মিষ্টি পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করে। সে বলে, কোন কারণে পোকা পড়তে পারে। লেবার দিয়ে প্যাকেট করার সময় কোন ভুলের কারণে মিষ্টি পঁচে যেতেও পারে। এজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন পূর্বে আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারেও একই সমস্যা দেখা দেয়। গাংনী বাজারের বড় দু’টি মিষ্টির দোকানেই যদি এমন হয় তাহলে বাকি মিষ্টির দোকানের মিষ্টির গুনগত মান কেমন হবে এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

গাংনী শহরের আঃ মালেক স্টোর এন্ড ফল ভান্ডারে পঁচা মিষ্টি বিক্রির বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মেহেরপুর জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, বর্তমানে গাংনীর মিষ্টির অবস্থা ও গুনগত মান খুবই নিম্নমানের৷ এবিষয়ে গাংনী স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Total Page Visits: 631 - Today Page Visits: 1