মেহেরপুর সদর উপজেলার কলাইডাঙ্গা গ্রামে সীমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। নিহত শ্যামলী সীমা খাতুন মেহেরপুর সদরের বারাদী গ্রামের মরহুম আব্বাস আলীর মেয়ে।
জানা যায়, প্রায় দশ বছর আগে কলাইডাঙ্গা গ্রামের মোল্লাপাড়ার রেজাউল হকের ছেলে কাওসার আলীর সঙ্গে সীমা খাতুন এর বিয়ে হয়। ১৩ দিন আগে কাউসার দম্পতি পিতা-মাতার সাথে পৃথক হয়। গত সোমবার শ্যামলী সীমা খাতুনের বাবার বাড়ির লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে সীমা ও কাওসারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় । পরে সীমা খাতুন বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে কুষ্টিয়া নেওয়ার পথে পথিমধ্যে সীমা খাতুন মৃত্যুবরণ করে। এই ব্যাপারে নিহতের মা কমেলা খাতুন অভিযোগ তুলে বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার আমার জামাই ও মেয়ের শাশুড়ি বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সার জন্য মেয়েকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করতো। এ পর্যন্ত আমি জামাইকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছি। তারপরও আমি মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না। তিনি হত্যার অভিযোগ তুলে বলেন আমার জামাই ও বিয়ান মিলে আমার মেয়েকে বিষপান করিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে নিহতের স্বামী কাউসারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। বারাদি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই মফিজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
কলাইডাঙ্গা গ্রামে মুখে বিষ ঢেলে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
Total Page Visits: 753 - Today Page Visits: 1