মেহেরপুরের গাংনীতে জমি-জায়গা সংক্রান্ত জের ধরে ফিরোজা খাতুন(৪৫)নামের নারীকে পিটিয়ে আহত করেছে দেবরা।আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।আহত ফিরোজা খাতুন উপজেলার চর গোয়াল গ্রামের গোলাম কিবরিয়া টুকু’র স্ত্রী।
আহত ছোট মেয়ে মুর্শিদা খাতুন জানান,আমার দাদা মারা যাওয়ার পর আমার দাদা সব জমি ভোগদখল করে নিয়েছে আমার দুই চাচা লিটন মাহমুদ(৫০) ও সাবেক সেনা সদস্য হাফিজুর রহমান(৫৫)।আমার বাবা ক্যান্সার আক্রান্ত।তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।আমার মা জমির ভাগ দেবার কথা বললে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার দুই চাচা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ে আঘাত করতে থাকে।পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।
আহতের বড় মেয়ে ইসমতারা জানান,আমার একটি ভাই ছিলে সে টাকার অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে।আমার বাবা খুব অসুস্থ বাবাসহ আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আমার দুই চাচা।আমার মা ও বাবাকে আমার প্রায় সময় তারা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে।আমরা এর বিচার চাই।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায়,আহত ফিরোজা খাতুনের মাথায় ১৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে,তার হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে,মাংসপেশিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান,এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য,লিটন ও সাবেক সেনা সদস্য হাফিজুর রহমান গাংনী উপজেলার চর গোয়াল গ্রামের পাইক পাড়ার মৃত খাইরুদ্দিন মন্ডলের ছেলে।