মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি সড়কে ডাকাতির ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে ডাকাতি হওয়া মোটর সাইকেল ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গেল ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি সাইফুল আলমের নেতৃত্বে গাংনী থানা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর মধ্যপাড়ার রব্বান মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৮), গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের ফকির মন্ডলের ছেলে নাজির (৫৩) সাহারবাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে দুলাল আলী (৩৫)। গ্রেফতারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি করে মামলা রয়েছে।
আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম নিজ কার্যালয়ে ডাকাত গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন।
অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ৮ এপ্রিল রাত পৌনে দশটার দিকে গাংনী উপজেলার গাড়াডোব-সাহারবাটি সড়কের মাঠের পথে পথচারীদের গতিরোধ করে ডাকাতদল। এসময় গাংনীর সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে নগদ টাকা ও তার ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার ও সোর্স মাধ্যমে ডাকাতদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত হয় পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে গেল ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতি হওয়া মোটর সাইকেল। একই সাথে ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেনকে কুপিয়ে জখম করা দেশীয় অস্ত্র (হাসুয়া) ও লাঠিসোটা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ ডাকাতির ঘটনায় আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার আরও বলেন, তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দেবে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। তাদের নামে গাংনী থানায় থানায় দায়ের করা মামলায় মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলমান বলেও জানান পুলিশ সুপার।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন, গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ও মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদি রাসেল ডিবি ওসি সাইফুল আলমসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।