মেহেরপুরের গাংনীতে পৃথক অভিযানে মাদক দ্রব্য ও নগদ অর্থসহ চারজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জোড়পুকুরিয়া গ্রামে ৮ কেজি গাঁজা ও সকাল ৯ টায় নওপাড়া গ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৪ কেজি গাঁজা, ফেনসিডিল ও নগদ অর্থসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভাগজতপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী তিলোকজান (৪৫), মুন্সিগঞ্জ অক্টরনগর গ্রামের আসমত আলীর স্ত্রী ও শুভাচাঁদ আলীর মেয়ে কোহিনুর খাতুন (৫০), মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওপাড়া নবীনপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে ভ্যানচালক ইন্তাজুল ইসলাম ইন্তাজ (৪৮) এবং একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন (৪৬)।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাশেম বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নারীসহ কয়েকজন ব্যক্তি পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকায় মাদক নিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন ভোমরদহ- জোড়পুকুরিয়া রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৭ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট মেহেরপুর ইউনিটের সদস্যরাসহ অভিযান পরিচালনা করেন। সকাল ৭টার দিকে দুইজন নারী ট্রাভেল ব্যাগসহ ব্যাটারি চালিত একটি পাখি ভ্যানযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ভোমরদহ-জোড়পুকুরিয়া সড়কের মাঝামাঝি এলাকায় তল্লাশি করে ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে ৫টি প্লাস্টিক হলুদ রঙের প্যাকেটে স্কসটেপ দিয়ে মোড়ানো ৮ কেজি গাঁজাসহ তিলোকজান, কোহিনুর ও ইন্তাজ নামে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ সময় মাদক বিক্রয়ের নগদ ৭ হাজার টাকা ও মাদক কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওপাড়া গ্রামে ইদ্রিস আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীনের বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বসতঘরের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা ১১টি প্লাস্টিক হলুদ রঙের প্যাকেটে স্কসটেপ দিয়ে মোড়ানো এবং ২টি কালো শপিং ব্যাগে রাখা মোট ১৪ কেজি গাঁজা ও ১৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারসহ তাকে আটক করা হয়। এসময় মাদক বিক্রয়ের নগদ ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাংনী থানায় দুটি আলাদা মাদক মামলাসহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।