গাংনীতে গোপনে কসবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানার ৪ টি গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা সভাপতি কাউকে না জানিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্কুল এরিয়ার ৩ টি মাঝারী সাইজের নিম গাছ ও ১ টি পেউ গাছ (যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকা ) কর্তন করা হয়েছে।অবৈধভাবে গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউপির কসবা গ্রামে।
আজ রবিবার বিকেলে বাবার লাগানো গাছ দাবি করে স্কুলের পার্শ্বের ৩ ভাই তক্কেল আলী, মক্কেল আলী ও মক্কর আলী গাছগুলো বিক্রি করেছে। একই গ্রামের ভিটাপাড়ার মৃত চাঁদ আলীর ছেলে গাছ ব্যবসায়ী আবু গাছগুলি তড়িঘড়ি করে কেটে সরিয়ে ফেলেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কসবা গ্রামের মৃত সবগুল হোসেনের ৩ ছেলে তক্কেল, মক্কেল ও মক্কর আলী জমির সীমানা পরিমাপ না করে এমনকি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে না জানিয়ে গাছগুলি কেটে ফেলেছে। প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব জানায়,স্কুলের জমির পার্শ্বে তাদের জমি। ইতোপূর্বেও জমি আমিন দিয়ে পরিমাপ করে গাছগুলি স্কুলের সীমানায় পড়েছিল।
প্রায় বছর দেড়েক হলো গাছগুলি কাটা থেকে বিরত ছিল। হঠাৎ আমাকে না জানিয়ে গাছগুলি কেটে ফেলেছে।বর্তমানে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি এক্টিভ নেই। ্এ্্যাডহক কমিটি দিয়ে স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। আমি সহকারী শিক্ষা অফিসার শাহজাহাান রেজা মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গেলে মৃত সবগুলের ছেলেরা গাছ কর্তন করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়।ছোট ছেলে মক্কর আলী জানায়, সরকারী স্কুলের গাছ আমরা জানি তবে আমার বাবা হাতে কওে লাগিয়েছে বলে আমরা কেটে নিয়েছি। মক্কেল জানায়, আমার বাবা গাছ লাগিয়েছিল তাই আমরা গাছ কেটে নিয়েছি। আমি হেড মাষ্টার ও সভাপতিকে বার বার জানিয়েছি জমি মাপার জন্য কিন্ত তারা না শুনলে আমরা গাছ কেটেছি।
এইনিয়ে স্থাানীয়রা জানান, আমরা ধারনা করছি , প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব ও সাবেক সভাপতি ওয়াজেদ আলীর যোগসাজশে গাছ কাটা হয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন কার্যকরী কমিটি না থাকায় স্কুলটি করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকায় মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। উটতি বয়সের ছেলেরা স্কুল ক্যাম্পাস দখলে নিয়ে স্কুলের তালা ভেঙ্গে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ দেখার নেই।এব্যাপারে গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আলাউদ্দীন জানান, আমি লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।