হাজী জাহিদ, নরসিংদী। নরসিংদীর অশান্ত চরাঞ্চলে শান্তি ফেরাতে আলোকবালী রায়পুরার মির্জারচর ও নিলক্ষাচরে অভিযান চালিয়েছে র্যাব-১১। এ সময় স্বাধীন বাহিনীর সাথে গোলাগোলির ঘটনা ঘটে। ১টি রিভালবার, ১টি শট গান, ১টি ওয়ান সুটার গান ৩১ রাউন্ড গুলি বুলেট প্রুফ জ্যাকেটসহ বিপুল পরিমাণ মেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ দুপুরে র্যাব-১১ নরসিংদী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো আ. সাত্তার ওরফে স্বাধীন (৫৪), কালন (৩০) ,নাজির হোসেন (৩৫), বিল্লাহ হোসেন (৩৫),জুয়েল (২৫), আবুল হোসেন (৫৫), মো. আনিস (২৬), খোকন মিয়া (৩২), মিজানুর রহমান (৪৫), আইব আলী (৪৪), নাসির (৩০), লিটন (২০)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ জানায়, নরসিংদী জেলায় সংগঠিত হত্যা, মাদক, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধ রুখে দিতে র্যাব-১১ অভিযান আরও জোরদার করেছে। এ পর্যন্ত গত ২ সপ্তাহে নির্বাচনী সহিংসতায় ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।
বহু সংখ্যক মানুষ এ সহিংসতায় আহত হয়েছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনের জন্য র্যাবের অভিযান জোরদার করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ইউপি নির্বাচনের সহিংসতা প্রতিরোধে নরসিংদীর রায়পুরা থানার মির্জারচর, আলোকবালী ও নিলক্ষা চরাঅঞ্চলে র্যাব-১১ নরসিংদীর চৌকস একটি দল মঙ্গলবার চরাঞ্চলে অভিযান চালায়। খবর পেয়ে নিলক্ষা ও আলোকবালী চরাঞ্চলের সন্ত্রাসীরা আত্মগোপন করে।
পরে জেলার রায়পুরার মির্জাচর এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
এসময় অভিযানে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কুখ্যাত “স্বাধীন বাহিনী”র প্রধান স্বাধীনসহ দলের অন্য সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ী গুলিবর্ষন শুরু করে। এসময় জানমাল ও সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে র্যাবও পাল্টাগুলি চালায়। পরে তাদের চারপাশ থেকে ঘেরাও দিয়ে হত্যাসহ অসংখ্য মামলার পলাতক আসামি স্বাধীন বাহিনীর প্রধান স্বাধীনসহ স্বাধীন বাহিনীর ১২ জনকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তাদের কাছ হতে ১টি রিভালবার, ২ রাউন্ড রিভালবারের গুলি, ১টি ইউএসএর তৈরী শট গান, ২৯ রাউন্ড শট গানের গুলি, ১টি ওয়ান সুটার গান, রামদা ৬টি, ছোরা ১টি, তলোয়ার ১টি, কিরিচ ১টি, সামুরাই ২টি, চাপাতি ১টি, ৩টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, নগদ ৮৮৮০ টাকা এবং ৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ আরো জানায়, স্বাধীন বাহিনীর সদস্যরা চাঁদাবাজী, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগ, ভয়ভীতি প্রদর্শন,হত্যাসহ ব্যাপক সহিংসতা করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।