শরিফুল ইসলাম, টগর ইতালি প্রতিনিধি।।
ইতালির জাতীয় নির্বাচনের পারে এবার ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইতালির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ অক্টোবর, রবিবার সকাল ১১টায়। স্থানীয় একটি (ঢাকা বিরিয়ানি হাউজ) রেষ্টুরেন্টের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র এবং কমিটি বিন্যাসের আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অর্থসম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল বুধবার ছিল প্রার্থীদের নমিনেশন জমা দেয়ার শেষ তারিখ। এ সময়ের মধ্যে সভাপতি পদে দুইজন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন এবং অর্থসম্পাদক পদে একজন নমিনেশন জমা দিয়েছেন। প্রেসক্লাবের নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ তারিখ বিকেল ৫টা পর্যন্ত নমিনেশন প্রত্যাহার করার সুযোগ থাকবে। এরপর আহবায়ক কমিটি প্রার্থীদের নমিনেশন যাচাই বাছাই করে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। অন্যদিকে ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভেনিসের বাংলাদেশি পাড়ায় উৎসবের আমেজ বয়ে যাচ্ছে। প্রতিটা জটলায় বা কফি হাউজের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে এ নির্বাচন। প্রার্থীদের সমর্থকসহ কম্যুনিটির নেতৃবৃন্দর সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় চলছে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা। রং বেরঙ্গের পোস্টারে ছেয়ে গেছে প্রার্থী এবং সমর্থকদের টাইমলাইন। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে নানা উপায়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। তারা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কেউ কেউ লিখিত ইশতেহারও প্রকাশ করেছেন। কম্যুনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সাংবাদিকদের সংগঠন গণতন্ত্র মেনেই হওয়া উচিৎ, যা ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দেখিয়ে দিতে যাচ্ছে আগামী ১৬ তারিখ, রোববার। প্রেসক্লাবের আহবায়ক পলাশ রহমান বলেন,” নিয়মানুযায়ী নেতৃত্ব ঠিক করার জন্য নির্বাচন করতে হয়। কেউ বিজয়ী হয়, কেউ পরাজিত হয়। কিন্তু আনন্দের বিষয় হলো প্রেসক্লাবের নির্বাচনে পরাজয় মানে হেরে যাওয়া নয়। প্রেসক্লাবের নির্বাচনে কাউকে বিসর্জন দিতে হয় না। যারা পরাজিত হয় তাদের ঝুলিতে জমা হয় ব্যাপক অভিজ্ঞতা। যা পরবর্তিতে তাদের জন্য নেতৃত্বে আসতে সহায়ক হয়।” তিনি আরও বলেন, “ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত হবে। সদস্যরা স্বাধীন ভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।” কোথাও সামান্যতম ছন্দপতন হবে না বলে আশা ব্যক্ত করেন পলাশ রহমান। তিনি সকলের উদার সহযোগীতা, বিচক্ষণতা এবং নেতৃত্বের দৃড়তা প্রত্যাশা করেন।