মুজিবনগরে উপজেলা মোনাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের উপর দুর্বৃত্তদের হামলা। মোনাখালী গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মোনাখালী গ্রামের পূর্বপাড়ায় মন্টু মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোনাখালী গ্রামের পূর্বপাড়ার প্রবাসি মিন্টু মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা খাতুন জানান, তার মেয়ে শ্বশুর বাড়ি যাবে এজন্য তাদের
আত্মীয় ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিবকে দাওয়াত দিয়েছিলাম। সন্ধ্যায় হাবিবুর রহমান আমাদের বাড়িতে আসলে মোনাখালীর মধ্যপাড়ার ফারদেশ এর ছেলে সুজন এবং সজল এবং ফিহাজের ছেলে রাশেদ ও শিশির জোরপূর্বক তাদের বাড়ি প্রবেশ করে আচমকা হাবিব মেম্বারকে আক্রমণ করে এবং তাকে কিল ঘুষি সহ বিভিন্ন ভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আমরা মহিলারা নিরুপায় হয়ে মেম্বারকে বাঁচাতে বটি হাতে তাদের তাড়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করি এবং পুলিশকে ফোন দিলে পুলিশের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে আহত ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব আমাদের জানান, আমি দাওয়াত খেতে মোনাখালী পূর্ব পাড়ার মিন্টু মিয়ার বাড়িতে যাই এ সময় মিন্টু মিয়ার মেয়ে জামাই এর কথা বলছিলাম হঠাৎ সুজন সজল রাশেদ শিশির সহ আরো কয়েকজন মিন্টু মিয়ার বাড়িতে ঢুকে কোন কিছু না বলেই আমাকে আক্রমণ করে এবং প্রথমে একটি হাতুড়ী দিয়ে আমার হাতে বাড়ি দেয় এবং কিল ঘুষি ও লাঠিসোটা দিয়ে মারতে থাকে আমাকে বাঁচাতে বাড়ির মহিলারা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় আমি তাদের সহায়তায় পুলিশকে ফোন দিই এবং পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে হসপিটাল এ নিয়ে আসে।
তিনি আরো বলেন কিছুদিন আগে সুজন ও সজলের পিতা ফারদেশের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির বিচার আমি করেছিলাম। সে সময় তারা বিচার টি না মেনে চলে যায়। আমার মনে হয় তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমার উপরে হামলা।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মোবাইল নাম্বার না পাওয়ার কারণে তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত জানান, ঘটনা শোনার পরে মুজিবনগর থানার একটি টিম সেখানে পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পৃর্বক আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।