softdeft

মুজিবনগরে নির্বাচন সহিংসতায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের নামে মামলা, আটক-৩

মুজিবনগরে নির্বাচন সহিংসতায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের নামে মামলা, আটক-৩

মুজিবনগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দায়ের করা একটি মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন সহ ২৫ জনের নামে মামলা।। ৩ জনকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, আওয়ামী লীগ কর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক জয়পুর গ্রামের মেম্বার সাকার উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী(৫৫), আনন্দবাস গ্রামের শহীদ বিশ্বাসের ছেলে রানা বিশ্বাস(৪০) ও রুহুল আমিনের ছেলে মামুন(৪০)।
অন্যান্য আসামী হলেন ১। জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস (৭০), পিতা-মৃত আকছেদ আলী, ২। রাসেল উদ্দিন(৪৫), পিতা-জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, ৩। জয়নাল আবেদীন (৪৪), পিতা-আব্দুল জলিল, ৪। মামুন (৪০), পিতা-রুহুল আমিন, ৫। রানা বিশ্বাস (৪০), পিতা- শহীদ বিশ্বাস, ৬। বাচ্চু (৩৮), পিতা-আলী বিশ্বাস, ৭। হাশেম (৪৫), পিতা-গবরা হালসানা, ৮। টনি হালসানা (৪০), পিতা-আবু বক্কর হালসানা, ৯। ওমর মেম্বার (৪২), পিতা-চাঁদ আলী, ১০। রিপন মেম্বার(৪০), পিতা-ঘটল ভুড়ি, ১১। • ছানোয়ার হোসেন দানা মেম্বার (৪৪), পিতা-খোরশেদ আলী, ১২। তাহাজ উদ্দিন (৪৭), পিতা-মৃত দলিল খা, ১৩। – হুমায়ন কালটা (৪০), পিতা-মৃত ছাপি কালটা, ১৪। মামুন (৪০), পিতা-মৃত জেহের আলী, ১৫। আনার (৫০), পিতা-মৃত মুনছুরাত, ১৬। শফিক(৩৯), পিতা-পিয়ার আলী মন্ডল, ১৭। নিয়ত আলী (৪৪), পিতা-মৃত আলিহীম, ১৮। – ছয়রুদ্দিন (৫৫), পিতা-মৃত তেতুল ফেসকি, ১৯। সেলিম (৩০), পিতা-ফরজ আলী, ২০। আরিফ(৩৮), পিতা- জিয়াবদ্দিন, ২১। রাজ্জাক (৪৫), পিতা-নাসের, ২২। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪৯), পিতা-মৃত আব্দুল আওয়াল, সর্ব সাং- আনন্দবাস, ২৩। সোহরাব হোসেন মেম্বার (৫৫), পিতা-মৃত ভিকু শেখ, সাং-সোনাপুর, ২৪। রফিক মেম্বার (৫০), পিতা- মৃত গরিবুল্লাহ, সাং-নাজিরাকোনা, ২৫। রমজান আলী মেম্বার (৫৫), পিতা-সাকার উদ্দিন, সাং-জয়পুর, সর্ব থানা- – মুজিবনগর, জেলা- এছাড়াও মেহেরপুর সহ অজ্ঞাতনামা ৩৫/৪০ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তাদের আটক করা হয়। আটকের পর দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সোমবার দিবা গত রাতে সংগঠিত সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও নৌকার সমর্থক আলতাব হোসেন বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাস সহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায়, একটি মামলার ভিত্তিতে আমরা এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছি। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। তাছাড়া আর যেন কোন সহিংসতা না ঘটে সে উদ্দেশ্যে ঐ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
উল্লেখ্য, সোমবার দিবাগত রাতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুপক্ষের অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে গুরুতর আহত হন ২১ জন। নৌকার সমর্থকদের আনন্দ মিছিলকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের সাথে এ সংঘর্ষ ঘটে। গত সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসের আনন্দবাস গ্রামের বাড়ির সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে মুজিবনগর থানা পুলিশ গিয়ে ৮ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে দু-পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক আলতাব হোসেন বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসকে ১ নাম্বার আসামী করে মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

Total Page Visits: 646 - Today Page Visits: 1