softdeft

মুজিবনগর আওয়ামী লীগের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাগোয়ান ইউপি’র ৯টি ওয়ার্ড কমিটি অবৈধ

মুজিবনগর আওয়ামী লীগের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাগোয়ান ইউপি’র ৯টি ওয়ার্ড কমিটি অবৈধ

মুজিবনগরে আওয়ামী লীগের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাগোয়ান ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড কমিটি অবৈধ ঘোষণা করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারী মুজিবনগর অডিটোরিয়াম রুমে বসে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নয়টি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। যা উপজেলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ ত্যাগি নেতারা অবৈধ ও অগনতান্ত্রিক উপায়ে হয়েছে বলে মনে করেন।
বিষয়টি পরিস্কার করতে বৃহস্পতিবার সকালে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন।
প্রেস ব্রিফিং এ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান সভাপতি মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিয়া উদ্দীন বিশ্বাস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- আওয়ামী লীগ এক প্রাচীন স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল। যাদের গঠনতন্ত্র মেনে চলতে হয়। কিন্তু গত ২৭/০২/২০২২ তারিখ বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী ঐতিহাসিক মুজিবনগরে একটি লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে যেটা আওয়ামী লীগের জন্য কাম্য নয়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন- এক দিনে কোন সম্মেলন ছাড়া একটি ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড কমিটি কি ভাবে ঘোষনা করা হয় ? সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্যরা জানে না বা তাহাদের কে অবহিত করা হয় নাই।
আমরা জানি যে, কিছু দিন আগে সারা বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচন এ যারা নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছে তাহাদের সাংগঠনিক পদ থেকে অটো বহিস্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন- বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন মোঃ মজিবুর রহমান (মধু) বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক ছিলেন মোঃ নজরুল ইসলাম। তারা দুই জনই বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে আনারস প্রতীকে প্রকাশে ভোট করেন। তাহলে তারা কি ভাবে বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এর সকল ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে পারে? সেই মঞ্চে নৌকার বিপক্ষের বিজয়ী চয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আয়ূব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সেই মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন যারা সরাসরি নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছেন। তিনি আরো বলেন- ২৭ ফেব্রুয়ারীর ব্যানারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে যার নাম লেখা ছিল তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি মহোদয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তিনি ও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। উক্ত কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম (তোতা)।
আমরা এটা আশা করি যে, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এই ধরনের কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আর একটা কথা বলতে চাই- যারা নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পদধারী নেতা-নেত্রী ও অঙ্গসংগঠন সকল পদধারীদের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করবো জেলা আওয়ামীলীগ কাছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যারা নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছে এবং আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পান নাই। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছে। তারা কেউ সাংগঠনিক পদে থাকবে না এবং ভবিষ্যতে কোন দলীয় পদে আসতে পারবে না। শুধু মাত্র সদস্য থাকবে। এমতাবস্থায় যারা এই কমিটি ঘোষনা করলো তারা নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছে। তাহাদের কোন সাংগঠনিক পদ নাই। অতএব ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার কোন এখতিয়ার তাদের নাই। তিনি ক্ষোভ করে আরো বলেন- মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে কোন বিভেদ ছিলো না এবং বাগোয়ান ইউনিয়ন একটি সাংগঠনিক ইউনিয়ন। হঠাৎ করে কেউ যদি মনে করে সাংগঠনিক ইউনিয়নকে অসাংগঠনিক ইউনিয়নে পরিনিত করবে এটা মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ মেনে নিবে না।
তিনি আরো চার ইউনিয়ন এর মধ্যে তিন ইউনিয়নের সভাপতি দলীয় মনোনয়ন পান কিন্তু শুধু মাত্র বাগোয়ান ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক দলীয় মনোনয়ন পান। বাগোয়ান ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট করেন। আর তিন ইউনিয়ন দারিয়াপুর মোনাখালী, মহাজনপুর দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সাধারণ সম্পাদক দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করে। কিন্তু বাগোয়ান ইউনিয়নের বিপরিত ঘটনা ঘটে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন ও সোনাল উদ্দিন, বাগোয়ান ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন মল্লিক প্রমুখ।

Total Page Visits: 760 - Today Page Visits: 2