মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেলকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের তিন দিন পর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অচেতন অবস্থায় পাভেল দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেল ১৩ই নভেম্বর তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ১৩ই নভেম্বর তার ইমারজেন্সিতে ডিউটি থাকলেও তিনি ডিউটি অন্যের সঙ্গে সমন্বয় করেছিলেন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ ছিল না। ১৪ নভেম্বর তারিখে তার ডিউটি না থাকাতে বিষয়টি কারও নজরে আসেনি। বুধবার ১৫ই নভেম্বর তিনি কর্মস্থলে না আসায় বিষয়টি সকলের দৃষ্টিগোচর হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসারের রুমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পায়। তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরিবার থেকেও জানানো হয় তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ হয়নি। পরিবার এবং মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারসহ ডিএসবি, ডিবি ও এনএসআইকে জানায়।
এ বিষয়ে জানতে মেহেরপুর সদর থানায় যোগাযোগ করলে থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টা মিসিং বলা ভুল হচ্ছে। উনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি সম্পর্কে বলা যাবে।এক পর্যায়ে রাত ১১টায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মেহেরপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. জমির মো. হাসিবুর সাত্তার বলেন, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেলের মিসিংয়ের বিষয়টি অবগত হওয়ার মাত্র আমরা তার পরিবারসহ পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করি। তার সন্ধান পাওয়া গেছে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অচেতন অবস্থায় পেয়ে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি নেত্রকোনা সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছি। সেখানকার চিকিৎসকরা মনে করছেন তাকে নেশা জাতীয় কোনো দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে। তবে ফরহাদ হোসেন এখনো অচেতন থাকাতে কিভাবে তিনি ওখানে গেলেন বা তার সাথে কি হয়েছিল, এ নিয়ে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া এখনো সম্ভব হয়নি।