softdeft

মেহেরপুরে প্রতারণার শিকার ১০ দিনমজুরি শ্রমিক। লুট হয়েছে লক্ষ টাকা

মেহেরপুরে প্রতারণার শিকার ১০ দিনমজুরি শ্রমিক। লুট হয়েছে লক্ষ টাকা

 

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদাহ ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি আওতায় ১০০ দিনের কাজ শুরু হয়েছে। ৪০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে ১০ জন দিনমজুরি শ্রমিক।
জানা গেছে, মন্ত্রণালয়/প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় হতে উপজেলায় বরাদ্দ প্রাপ্তির পর ইউএনও কর্তৃক জনসংখ্যা ও আয়তনের ভিত্তিতে ইউনিয়নওয়ারী বরাদ্দ বিভাজনপূর্বক ইউনিয়ন পরিষদে প্রেরণ বরাদ্দ অনুযায়ী শ্রমিক এবং ওয়েজ ও নন-ওয়েজ কর্মের প্রকল্পে কাজ করার পর শ্রমিকদের মোবাইল নং টাকা প্রদান করা হয়েছে। সেই টাকা বিকাশের মাধ্যমে মোবাইল ফোন আসলে সমাজ সেবার কর্মকর্তা সেজে সমাজসেবায় ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে শ্রমিকদের কে ফোন করে ওটিপি নং জেনে মোবাইল নম্বরে আসা ৯ হাজার টাকা
প্রতারনা করে নেওয়া হয়েছে। ১০ জন শ্রমিকের প্রায় লক্ষাধিক টাকা লুট হয়েছে।
এবিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার সাধারণ জিডি করা হয়েছে।
প্রতারনার শিকার হয়েছেন যারা সদরের আমদাহ ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের খন্দকার পাড়ার কাজী বোরহান উদ্দীন ,কাজী বাইতুল্লাহ, ফরিদ আলী , ফজিলা খাতুন ,রওশন আরা খাতুন, চকশ্যামনগর গ্রামের সাজেদা খাতুন, মুজাল মিয়া, আমদাহ গ্রামের মহাব্বত আলী, আশরাফপুর গ্রামের জামাত আলী, বুড়ি খাতুন।
জানা গেছে,
গত ২৯/০১/২৩ তারিখ সময় অনুমান বিকাল ৫ টা হতে ৭ টার মধ্যে তাদের মোবাইল নম্বর ০১৯৮২৪৩২৯৩৪ ০১৯৪৭৩০৭৯৪৬ 01946117982, 0179160৯৪৫ 01947361647 ০১৯২৮৮৩২২১২ নম্বরে অজ্ঞাতনামা नম্বর 0963889170. ০১৬৪১৭২১৬৩২ নাম্বারের মোবাইল হইতে তাদের কল দিয়ে নিজেকে সমাজ সেবা অফিসার পরিচয় দিয়া তাদের বলে যে, সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ আপনাদের মাসিক ভাতা প্রদান করবে এই জন্য আপনাদের মোবাইলে এসএমএস যাবে যার নাম্বারটা দিবেন তখন তারা বুঝতে না পেরে তাদের ফোনে আসা ওটিপি প্রদান করার পরে উক্ত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তারা বহু চেষ্ট করে কথিত সমাজ সেবা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করিতে ব্যর্থ হয়। তারা বুঝিতে পারেন যে, তাহারা প্রতারিত হইয়াছি। নিজেদের এ্যাকাউন্ট চেক করার পর টাকা নাই।
এবিষয়ে মেহেরপুর সদর থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য , বেকার ভাতা দেওয়ার বিধান রেখে সরকারের ১০০ দিনের কর্মসৃৃজন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
দুই হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প দুই ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে নভেম্বর পর্যন্ত ৬০ দিন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামী বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ দিন এ প্রকল্প চলবে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১০০ দিনের এ কর্মসূচির জন্য দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। গত ১৪ আগস্ট এ কর্মসূচির নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪ জেলার ২০ লাখ লোকের জন্য স্থানীয় উদ্যোগে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫০ এর মধ্যে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রতি পরিবার থেকে একজন কাজ পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক অন্য কোন কর্মসূচিতে জড়িত কেউ এর আওতাভুক্ত হবেন না। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না।
এ কর্মসূচির আওতায় একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হবে।

Total Page Visits: 542 - Today Page Visits: 1