softdeft

মেহেরপুরে মালটা ও পেয়ারা বাগানের অর্ধশতাধিক গাছ কেটে তচ্ছরুপাত

মেহেরপুরে মালটা ও পেয়ারা বাগানের অর্ধশতাধিক গাছ কেটে তচ্ছরুপাত

মেহেরপুরে ফসলের ওপর শত্রুতা যেন থামছেই না। একের পর এক ফসলি জমি নষ্ট ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে ঘটেছে মফিজুর রহমান নুলু চাষির মালটা ও পেয়ারা বাগানের অর্ধশতাধিক কেটে নষ্ট করার ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলা পিরোজপুর ঈদগাহ মাঠ এলাকায় নুলুর বাগানের অর্ধশতাধিক গাছ কেটে তচ্ছরুপাত করেছে দুর্বৃত্তরা।

এ নিয়ে গত এক মাসে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ডজনখানেক চাষির উঠতি ফসল কেটে নষ্ট করার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে লাখ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার ঘটনা তো রয়েছেই। এ ধরনের অনেক অভিযোগ থাকলেও এখনো অধরা অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগীরা জানায়, কখনো চাঁদা না পেয়ে, আবার কখনো জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। মাসখানেকের মধ্যে এতগুলো ফসল কেটে নষ্ট করার ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার চাষিরা।

সরেজমিনে জানা যায়, সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মফিজুর রহমান নুলুর মালটা ও পেয়ারা বাগানের অর্ধশতাধিক গাছ কেটে নষ্ট করেছে এক মাদকাসক্ত ব্যক্তি এমনি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নুলু।
মফিজুর রহমান নুলু জানান, আমি পরের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করি। এই মালটা বাগান এবং পেয়ারা বাগান দীর্ঘদিন পরিশেষ সকলে ফসল ওঠার সময় হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে পেয়ারা বাজারজাত করার চিন্তাভাবনা ছিল এই অবস্থায় আমার গাছ কেটে দিয়েছে ঐ মাদক সেবী তুহিন। আমাদের গ্রামের আশাদুলের ছেলে তুহিন একজন হিরোইন সেবক। তুহিন গ্রামের এমন কোন চাষির ফসল চুরি করতে বাকি রাখেনি। রোববার আমার বাগানে পেয়ারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে মারতে যায় । সে সাথে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। আমার আরেক ভাইকেও হুমকি দিয়েছে তার বাপ। আজ সকালে এসে দেখি আমার ফল ধরা গাছ কেটে তচ্ছরুপাত করেছে।

এদিকে একই অবস্থা মুজিবনগরে । উপজেলার রশিকপুর গ্রামে চাঁদা না পেয়ে দুই বিঘা জমির পেঁয়াজ কেটে নষ্ট করার ঘটনা ঘটেছে। গাংনী উপজেলার যুগিরগোফা গ্রামে ঘটেছে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারার ঘটনা। এতে আব্দুল লতিফ, ঠান্ডু মিয়া, আনিস, ইদ্রিস, খলিল মেম্বার ও দুখু মিয়ার ১৬ বিঘা পুকুরের মাছের ক্ষতি হয়েছে।

তারা জানায়, রাতের আঁধারে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া একই উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মুরাদ আলীর দুই বিঘা তামাকখেত, চরগোয়াল গ্রামের হাবিব উদ্দিনের ৩০০ কলাসহ গাছ, সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের আবু তাহেরের দুই বিঘা জমির কলাগাছ, বুড়িপোতা গ্রামের শাহীনের প্রায় দুই বিঘা জমির কলাগাছ ও মেহেরপুর নতুন বাস টার্মিনালের পাশে এক বিঘা জমির মরিচ গাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী শাহীন জানান, প্রায় সবগুলো ঘটনাই রাতের আঁধারে ঘটেছে।

মেহেরপুর কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, ফসল কেটে নষ্ট করার ঘটনা ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জায়গায় ঘটেছে। যে কারণেই হোক না কেন, ব্যক্তির ওপর রাগ ফসলের ওপর দেখানো খুবই জঘন্য। চাষিদের ফসল কেটে নষ্ট করার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

Total Page Visits: 396 - Today Page Visits: 2