নিউজ ডেস্ক।গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার লক্ষ্যে যিনি বুক ও পিঠে লিখেছিলেন,”স্বৈরাচার নিপাত যাক,গণতন্ত্র মুক্তি পাক” তার রক্তের আখরে লেখা নাম “গণতন্ত্র” আজ মুক্ত হয়েছে।মুক্ত বিহঙ্গের মতো আমরা গণতন্ত্রের সকল সুবিধা ভোগ করছি, গণতন্ত্রের জয়রথে বসে আমরা কি নূর হোসেনকে মনে রাখতে পেরেছি? আমারা নূর হোসেনের আত্মত্যাগকে একটি দিবসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ছাড়া আর কি কিছু করতে পেরেছি? ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায় নূর হোসেন খুব বেশি একটা শিক্ষিত ছিলেন না, তবে নির্দ্বিধায় বলা যায় তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত।গণতন্ত্রের অর্থ অনুধাবন করতে পেরেছিলেন।তিনি জীবন দিয়ে গনতন্ত্রের যে ব্যাখ্যা দিয়ে গেলেন তা আমাদের হৃদয়াঙ্গম করা উচিত বলে মনে করি। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় নূর হোসেনের নাম চিরভাস্বর চির উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো স্থান করে নিবে বাংলাদেশের ইতিহাসে।
নূর হোসেন শহীদ হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে সেই মিছিলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানস কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা তার সাথে কথা বলেছিলেন।আপনাদের জ্ঞাতার্থে হুবহু তুলে ধরলাম।
জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা যখন মিছিল শুরু করছিলাম তখন নূর হোসেন আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি তাকে কাছে ডাকলাম এবং বললাম তার গায়ের এই লেখাগুলোর কারণে তাকে পুলিশ গুলি করবে। তখন সে তার মাথা আমার গাড়ির জানালার কাছে এনে বলল, “আপা আপনি আমাকে দোয়া করুন, আমি গণতন্ত্র রক্ষায় আমার জীবন দিতে প্রস্তুত।”
চির শ্রদ্ধায় স্মরণ করি আপনার মহান আত্মত্যাগ কে!