softdeft

শ্যামপুর ইউপিতে দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে

শ্যামপুর ইউপিতে দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে

যশোর ও মেহেরপুরের দুটি উপজেলার জন্য গবাদি পশু কিনতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। সমবায় মন্ত্রণালয় এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সমবায় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সদস্য নির্বাচনে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা শ্যামপুর ইউনিয়নে।
‘দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলায় সমবায় কার্যক্রম বিস্তৃতকরণ’ প্রকল্পের বিতরণকৃত ঋণের টাকায় উপযুক্ত বকনা ও ষাড় বাছুর ক্রয় নিশ্চিতকরণে সদস্য নির্বাচনে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা শ্যামপুর ইউনিয়নে দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকালে সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন
শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় অধিদপ্তরে কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র বালা।

ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিন বলেন, এ প্রকল্পের ফলে একদিকে যেমন গ্রামের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা আনবে তেমনি উৎপাদিত হবে পুষ্টিকর খাবার। স্বল্প সময়ে কর্মসংস্থান ও আর্থিক সচ্ছলতায় এ প্রকল্প অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। কিন্তু সদর উপজেলা কর্মকর্তা চেয়ারম্যান কে বাদ দিয়ে নিজের পছন্দ মত মানুষ নিয়ে অন্য গ্রামে এই আর্থিক অনুদান দিচ্ছে। এধরনের একতরফা সদস্য নির্বাচনে আমরা প্রতিবাদ জানায়। সেই সাথে এই কর্মকর্তার বদলি চাই। কারন তিনি আওয়ামীলীগের লোকগুলো বাদ দিয়ে বিএনপি জামাতের লোকজনকে এ অনুদান প্রদান করার অভিযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা সমবায় অধিদপ্তরে কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র বালা বলেন, সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন কর্মকর্তা অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় যেসকল পরিবারগন আবেদন করেছে তারা সকলেই উপস্থিত থেকে কর্মকর্তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ।
দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে গ্রামীণ কর্মসংস্থান সঠিক ও নিরপেক্ষ করার জন্য মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন ৪ হাজার ২০০ প্রান্তিক মানুষ। অর্থনৈতিক সুবিধার পাশাপাশি তাদের খাদ্যের যোগানও দেবে এই পশুগুলো।
জানা যায়, সমবায় কার্যক্রমের আওতায় ৪৯ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে গ্রহণ করা হয়েছে একটি প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক সুফলভোগী গবাদিপশু কেনা ও প্রতিপালনের জন্য পাবেন এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা করে। এর মধ্যে ৮০ হাজার টাকা পশু কেনা এবং বাকি ১৫ হাজার প্রতিপালন ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে যশোরের মণিরামপুর ও মেহেরপুর সদর উপজেলা।

Total Page Visits: 413 - Today Page Visits: 2