মেহেরপুর প্রতিনিধি \ রং নম্বরে পরিচয় । তারপর মোবাইলে কথোকপনের দেড় বছর যাবৎ প্রেম সর্ম্পক গড়ে উঠেছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে প্রেমিকের টানে নরসিংদী জেলার শ্রীনগর উপজেলার পঞ্চগড় গ্রাম থেকে মেহেরপুরে আসে প্রেমিকা তাহমিনা খাতুন। রবিবার রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফুর গ্রামের প্রেমিক সুমন হোসেনর বাড়িতে অবস্থান। প্রেমিকার অবস্থান েেদখে প্রেমিক সুমন সহ তার পিতা-মাতা বাড়ি থেকে পালায়ন।
প্রেমিকা তাহমিনা খাতুন বর্তমানে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে তার প্রেমিক সুমনের বাড়ির সামনে অবস্থান করছেন। সুমন মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফুল গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, সুমন হোসেন প্রায় দেড় বছর পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নরসিংদী জেলার শ্রীনগর উপজেলার পঞ্চগড় গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে এক সন্তানের জননী তাহমিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ দেড় বছরের মধ্যে তারা অসংখ্যবার মোবাইলে কথাবার্তা বলেছেন। তাহমিনা কয়েকদিন পূর্বে সুমন তাকে ফোন করে তার বাড়িতে আসতে বলে। সে মোতাবেক তাহমিনা নরসিংদী থেকে মেহেরপুরের আশরাফপুর গ্রামের সুমনের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এদিকে তহমিনাকে আসতে দেখে সুমন, তার পিতা-মাতা বাড়ি থেকে আত্মগোপন করে। প্রায় ৫ বছর আগে প্রথমবার বিয়ে হওয়ার পর তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার ঘরে রয়েছে ৪ বছর বয়সী এক সন্তান ।
তাহমিনা খাতুন জানান, সন্ধ্যার দিকে আশরাফপুর গ্রামে সুমনের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি তাদের বাড়ির প্রধান গেটে তালা দেওয়া। তাই আমি বাড়ির ভিতরে যেতে পারছিনা বলে দাড়িয়ে আছি।
এদিকে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থানের খবর পেয়ে সাহেবপুর ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এ ব্যাপারে সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে সুমন বলেন ৬ মাস পূর্ব থেকে তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর যখন জানতে পারি তার বিয়ে হয়েছিল, একটি সন্তান রয়েছে। তারপর থেকে আমি তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে আমদাহ ইউপি চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি একটি মেয়ে সুমনের বাড়িতে এসেছে।