softdeft

মেহেরপুরে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

মেহেরপুরে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

মেহেরপুরে প্রবল শিলাবৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। এতে ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফাল্গুনের মাঝামাঝি এসে হঠাৎ করে মেহেরপুর আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। এরপর শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি।সাথে প্রচন্ড শিলা। বড় বড় শিলা পড়ে অনেক স্থানে জমাট বেঁধে থাকে।
প্রচন্ড শিলা বৃষ্টির কারণে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে এরকম আসা করছেন চাষীরা। বিশেষ করে পাকা, আধাপাকা গম, মসূরী, আমের মুকুল, ভূট্টা, সূর্যমুখী সহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে পারিনি। এদিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি, রাজনগর,বারাদি, রঘুনাথপুর, গহরপুর, দরবেশপুর সহ চুয়াডাঙ্গা জেলাতেও অনেক ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

প্রচন্ড গতিতে শিলা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরপরই মেহেরপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।হঠাৎ করে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় বাইরে বের হওয়া মানুষজন আটকা পড়ে। অনেক নিচু অঞ্চলে হাঁটু সমান পানি জমা হয়ে যায়।
মোমিনপুর গ্রামের কৃষক ইমাদুল জানায়, তার একবিঘা জমির শশা গাছ শিলাবৃষ্টিতে পাতা ছিঁড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

কলাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মানিক জানান, আমার দুই বিঘা জমির ভুট্টা গাছ ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে মাটিতে শুয়ে গেছে। যা থেকে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে না।
তবে বারাদি অঞ্চলের রাজনগর, জুগিন্দা, কলাইডাঙ্গা, মোমিনপুর, পাটকেলপোতা, দরবেশপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কচু আলু গম ভুট্টাসহ দন্ডায়মান ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে আচমকা ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টি হয়। ১৫-২০ মিনিটের স্থায়িত্বকালের এই শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
9
মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন পারভীন জানান, শিলাবৃষ্টিতে গমের কিছুটা ক্ষতি হলেও অন্যান্য ফসল খুব একটা ক্ষতি হয়নি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে আবহাওয়া ভালো থাকলে ফসল ঠিক হয়ে যাবে।
মেহেরপুর বীজ উৎপাদন খামারের ( বিএডিসি) উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলাম জানান, চলতি অর্থবছরে অত্র খামারে ভুট্টা ৩.৭৫ , গম ৬০ ও ২৬ একর আলু আবাদ করা হয়েছে। যাহা বর্তমানে মাঠে দণ্ডায়মান। ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে খামারে আবাদকৃত ৩.৭৫ একর ভুট্টা ও গমের গাছ ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে মাটিতে শুয়ে গেছে এবং ২৬ একর আলু হাম্পলিং পরবর্তী অবস্থায় থাকায় শিলাবৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে পচন লাগা শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।

Total Page Visits: 735 - Today Page Visits: 4