মেহেরপুরের গাংনীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন করে খুশি খাতুন নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে । শুক্রবার (১৬ সেক্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের করমদী গ্রামে নুরাল হোসেনের মেয়ে ও করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী খুশি খাতুন (১৪) এর ধুমধাম করে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ের আয়োজন করে তার বাবা একই উপজেলার তেরাইল গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে ইসাহক উদ্দিন(২০) এর সাথে। খুশির পিতার সাথে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেনি। তবে খুশির পিতা নুরাল ইসলাম জানান মেয়ে দেখতে ছেোট মনে হলেও বয়স হয়েছে।
বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করেন করমদি সাহাবুরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম সাজাহান আলী। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন ইমাম সাজাহান আলী।
বরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দেশে কত আইন আছে এতো আইন মানছে কয়জন। বিয়ে করেছি প্রশাসন যা পরে তাই করুক। আমি এসব আইনের তোয়াক্কা করিনা।
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ সনের ৬ নং আইন এর বিশেষ ধারা মোতাবেক ছেলেদের ২১ এবং মেয়েদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেয়া যাবেনা এমন নির্দেশনা থাকলেও মেহেরপুরের গাংনীতে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে খুবই কম।
এদিকে সুশীল সমাজ বলছে, প্রশাসনিক নজরদারী না থাকায় এসব বাল্য বিয়ে দেয়ার সাহস পাচ্ছে অভিভাবকরা।
অল্প বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে ছেলে এবং মেয়ের উভয় পক্ষের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, বাড়তে পারে সংসারে কলহ। বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম এর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।