softdeft

মেহেরপুরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করায় সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করায় সংবাদ সম্মেলন

মুজিবনগর গোপালপুর গ্রামে দেলোয়ার হোসেন দিপুর নামে চ্যানেল ২৪ এর মাধ্যমে নিউজ প্রচার হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১২ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেলোয়ার হোসেন দিপু বলেন, আমি নাকি অন্যের আইডি কার্ড দিয়ে সিম তুলেছি, এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা । আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর জন্য এগুলো করা হয়েছে। আসল ঘটনাটা হল আপনারা সবাই জানেন যে আমার অনলাইনের আউট সোর্চের একটা বিজনেস আছে এবং আমার চারটা ইউটিউব চ্যানেল এবং একটা ফেসবুক পেজ আছে। যেগুলোর মাধ্যমে দিয়ে আমরা সারা বাংলাদেশে মেশিনারিজ প্রোডাক্ট সেল করে থাকি। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে যারা আমাদের ভিডিওগুলো দেখে মেশিন অর্ডার দেয়। তারা সবাই আমাদেরকে নগদ বিকাশ অথবা রকেটের মাধ্যমে কিছু টাকা এডভান্স করে । যেমন পাঁচ হাজার, দশ হাজার ,পনেরো হাজার ইত্যাদি আবার অনেকে ব্যাংকের মাধ্যমেও পাঠায়। আমরা সবাই জানি যে পার্সোনাল নগদ বিকাশ এবং রকেটে ২৫ হাজারের বেশি টাকা পাঠানো যায় না । মাসে ১,৫০,০০০ টাকার বেশি লেনদেন করা যায় না। এক্ষেত্রে আমাদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ টা নগদ বিকাশ এবং রকেটের পার্সোনাল একাউন্ট লাগে। যেগুলো দিয়ে আমরা টোটাল মাসটাকে কভার করতে পারি। যাতে লিমিটের কোন প্রবলেম না হয় কিন্তু আমাদের যে নগদ একাউন্টগুলো খোলা আছে তাতে আমাদের মাস কভার হচ্ছিল না। এর আগে আমার আইডি কার্ড দিয়ে, আমার মার আইডি কার্ড দিয়ে, আমার বাবার আইডি কার্ড দিয়ে, আমার ওয়াইফের আইডি কার্ড দিয়ে একাউন্ট খোলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে একটা আইডি কার্ড দিয়ে একটার বেশি একাউন্ট করা যায় না। সেইজন্য আমি আমার আপন ফুপার ছেলের কাছে যাই। তাকে বলি, মিয়া ভাই আপনার আইডি কার্ড দিয়ে আমি একটা নগদ একাউন্ট খুলতে চাই। এটা আমার ব্যবসার জন্য । আপনি কি দিবেন। তখন তিনি বলল সমস্যা নাই তুমি নাও, তখন আমি নগদ একাউন্ট ওপেন করি। তখন ভাই অসুস্থ ছিল। ভাই বাড়িতে যাবে তাই আমি ভাইকে ৫০০ টাকা দিই আর বলি বাজার থেকে কিছু ফল কিনে নিও।
এসময় পাশের বাড়ির এক মহিলা ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের কথাগুলো শুনছিল। এবং সেই মহিলা পাড়ায় রটাতে থাকে আমি নাকি আইডি কার্ড নিয়ে ৫০০ টাকা করে দিচ্ছি। এবং এই কথাগুলো মুহূর্তেই আশেপাশে ছড়িয়ে যায় এবং সাথে সাথে প্রায় ২৫-৩০ জন মহিলা ওখানে জড় হয় এবং সবাই তখন আমাকে বলে যে আমাদেরও ৫০০ টাকা করে দাও। তোমার আত্মীয়কে দিলে আমাদের দিবে না কেন। তখন ওখানকার অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তাই কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে দূর থেকে সবাইয়ের একটা সেলফি নিয়েছি এবং তাদেরকে বলেছি যে তোমাদেরও হয়ে গেছে এবং ৩ জন বয়স্কর হাতে ৫০০ টাকা কর ধরিয়ে দিয়েছি। সেসময় সবাই চলে গেছে। এর আগেও আমি মানুষকে অনেক হেল্প করেছি তাই টাকার বিষয়টা আমি কোন কিছুই মনে করিনি। এটা আজ থেকে নয় মাস আগেকার ঘটনা। কিন্তু এই ঘটনাটা আবার নতুন করে উঠে আসার কারণ হচ্ছে ১১-১২-২০২২ ইংরেজি তারিখে ঢাকা একটি সিআইডি অফিস থেকে একটি নোটিশ আসে। এর আগে আমি যে আমার মিয়া ভাইয়ের আইডি দিয়ে নগদ একাউন্ট করেছিলাম ।ওখানে একটা ট্রানজেকশন হয়েছে যেটা সন্দেহজনক। তাই সিআইডি অফিস থেকে আমার মিয়া ভাইকে ডাকা হয়েছে এবং আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পরে আমি অফিসার কে বললাম যে এটা আমার দোকানে ইউজ হয় তখন তারা বলল এই যে একটা একাউন্ট থেকে তোমার নাম্বারে টাকা এসেছে। এই এজেন্ট ধারীকে কি আমরা চিনি কিনা। তখন আমরা অফিসার কে বললাম যে আমাদের তো অনলাইনে বিজনেস অনেকে টাকা পয়সা পাঠায় এই এজেন্টকে আমরা চিনি না । তখন তারা আমাদেরকে মুক্ত করে দেয়। কিন্তু যেদিন নোটিশটা এসেছিল ঐদিন ওই নোটিশটা কোন এক পুলিশ অফিসার মিয়া ভাইদের বাড়ির সামনে একটি দোকান আসে। ওই দোকানে দেয় এবং বলে যে তোমার পার্সোনাল নগদ একাউন্ট কে ব্যবহার করেছে। এবং তখনই আমার মিয়া ভাই ভয় পেয়ে গেছে। সে তো একাউন্ট দিপুরে দিয়েছি এবং ওই কথাটা এর আগে যারা ৫০০ টাকা করে নিয়েছে তাদের মাঝে ছড়িয়ে যায় এবং তাদের তো কোন কিছুই নেয়া হয়নি এবং তাদের যে আমরা একটা সেলফি নিয়েছিলাম এবং তারা মনে করেছিল যে আমাদেরও তাহলে সমস্যা হবে কারণ আমরা ছবি নিয়েছি। আসল বিষয় হচ্ছে এটা। এটি সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি। আমরা কারো আইডি থেকে কোন সিম নেইনি। এটা গ্রামীন বাংলালিংক বা রবির অফিসে গেলেই তারা নিজেরাই চেক করতে পারবে। যে আইডি কার্ড থেকে সিম তোলা হয়েছে কিনা ।তাহলে এই মিথ্যা অভিযোগটা কেন আমার নামে দেওয়া হল। তিনি আরো বলেন, আমি কোথায় কত টাকা আয় ব্যয় করেছি সমস্ত কাগজ পত্র রয়েছে।
এসময় মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চাদু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াদুল মোমেন, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা সহ সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Total Page Visits: 216 - Today Page Visits: 4