softdeft

প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

 

ধর্ষণের অভিযোগে খোকন ওরফে প্রতীক নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারদন্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরের দিকে (জেলা ও দায়রা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোঃ তহিদুল ইসলাম এ রায় দেন। সাজা প্রাপ্ত খোকন ওরফে প্রতীক মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মুকুল শেখ ওরফে মুকুল ডাকাতের ছেলে। মামলার বিবরনে জানা গেছে ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের শাহিন আলীর মেয়ে বাক প্রতিবন্ধী নাজমা খাতুন (১৪) শিবপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে বেড়াতে যাই। ওদিন সন্ধ্যার দিকে সে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের খোকন তাকে ধরে নিয়ে তার বাড়িতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সে রক্তাক্ত অবস্থায় তার নানার বাড়ি গিয়ে ঘটনা খুলে বলেন। ওই ঘটনায় বাক প্রতিবন্ধী নাজমা খাতুন আসামীর বাড়ি দেখিয়ে দেয় এবং আসামি খোকন ওরফে প্রতীককে শনাক্ত করে। ওই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বেলি খাতুন বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) একটি মামলা দায়ের করেন।

যার মামলা নং ১১। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং ৬৪/১৯।মামলায় খোকন ওরফে প্রতীক এবং মমিনুল শেখ ওরফে কালুকে আসামি করা হয়। পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুব্রতকুমার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেন। এতে আসামি খোকন ওরফে প্রতীক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১ সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারদন্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত খোকনের ওরফে প্রতীকের প্রতি আরোপিত অর্থদণ্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে রায় উল্লেখ করা হয়। উক্ত ক্ষতিপূরনের টাকা আসামি খোকন ওরফে প্রতীকের বর্তমান সম্পদ হতে আদায় করা সম্ভব না হলে তিনি ভবিষ্যতে যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হবেন সেই সম্পদ হতে আদায়যোগ্য হবে।

এক্ষেত্রে সম্পদের উপর অন্যান্য দাবি উপেক্ষা করে ক্ষতিপূরণের দাবি প্রাধান্য পাবে। রায়ে আরো বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১৬ ধারার বিধান অনুযায়ী কালেক্টরেট মেহেরপুর কে আসামি মোঃ খোকন ওরফে প্রতীকের স্থাবর বা অস্থাবর বা উভয় প্রকার সম্পদ নিলামে বিক্রি করে বিক্রয়লদ্ধ অর্থ এই ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া প্রদান করা হলো। ক্ষতিপূরণের উক্ত অর্থ এই ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়ার সাপেক্ষে তা এই মামলার ভিকটিমকে প্রদান করা হবে। মামলার অপর আসামি মমিনুল ওরফে কালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পিপি এস এস আসাদুজ্জামান।এবং আসামী পক্ষে এডভোকেট গোলাম মোস্তফা কৌশলী ছিলেন।

Total Page Visits: 234 - Today Page Visits: 4