মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুল মান্নান (৬০) নামের এক পল্লী চিকিৎসককে কুপিয়ে জখম করেছে মহাজনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মিঠু। পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মান্নান মৃত ওমর আলীর ছেলে। বুধবার বিকেলে মহাজনপুর বাজার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মিঠু একই ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে। পল্লী চিকিৎসককে কুপিয়ে জখম করায় মিঠুকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনগন।
আহত আব্দুল মান্নানকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এদিকে গণপিটুনি খাওয়া যুবলীগ নেতা মিঠুকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বাজারপাড়া এলাকায় ফজলু নামের এক ব্যক্তির জমি আব্দুল মান্নানের ভাগ্নে তাপু ক্রয় করে। জমি ক্রয়ের পর থেকেই ওই জমি নিয়ে মিঠুর সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। বুধবার বিকেলে জমিতে থাকা গাছের ডাটা পাড়তে গিয়ে আব্দুল মান্নানের সাথে মিঠুর বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় মিঠু দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আব্দুল মান্নানকে কুপিয়ে জখম করে। তাৎক্ষনাত আশপাশের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাহার অবস্থা আশংখাজনক হওয় ভিকটিম কে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
কিছুক্ষণ পর মান্নান ডাক্তারের লোকজন এসে মিঠু কে মারধর করেন। এতে মিঠু যখন প্রাপ্ত হয়। মিঠুকে তাহার পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। মান্নান ডাক্তারের লোকজন মিঠু দের বাড়ি ভাঙচুর করেন।
মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদি রাসেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন এখনো কোন মামলা হয়নি। আব্দুল মান্নানের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
মহাজনপুরে পল্লী চিকিৎসককে কুপিয়ে জখম। গনপিটুনিতে যুবলীগ নেতা জখম
Total Page Visits: 367 - Today Page Visits: 4