softdeft

গাংনীতে হারপিক পানের আড়াই মাস পর সুম্মার মৃত্যু

গাংনীতে হারপিক পানের আড়াই মাস পর সুম্মার মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনীতে হারপিক পানের প্রায় আড়াই মাস পর সুমাইয়া খাতুন ওরফে সুম্মা (১৬) নামের এক ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (৩১ জুলাই), ভোর ৪ টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুম্মার মৃত্যু হয়।
নিহত সুমাইয়া খাতুন গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সহড়াতলা বাজার পাড়ার রেজাউল ইসলাম ওরফে হাবুলের মেয়ে এবং করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।

স্থানীয়রা জানান, গত ২ মাস ১০ দিন পূর্বে পারিবারিক কলহের জের ধরে সুম্মা হারপিক পান করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে করমদী সন্ধানী হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক এসময় সুম্মা কে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
সুম্মার চাচা জানান, অবস্থার অবনতি দেখে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ সপ্তাহ ভর্তি রাখা হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, সুম্মার দুলাভাই বকাবকি করলে অভিমানে হারপিক পান করে।

সুম্মার খালা জানান, গত ৩ দিন ধরে সুম্মাকে আইসিইউতে চিকিৎসায় রাখার পর রবিবার ভোর বেলা তার মৃত্যু হয়।

তেঁতুলবাড়ীয়া ইউপি’র ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম লাটু জানান, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। অনেকদিন পরে শ্বশুরবাড়ি এসেছি। গ্রামে ফোন করে বিস্তারিত জানাচ্ছি।

তেঁতুলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস জানান, মাস দুয়েক আগে হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে শুনেছি। পরে হাসপাতালে ভর্তির পর আজ ভোরে মারা গেছে। পরে মরদেহ নিজ বাসভবনে নিয়ে আসা হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক মেহেরপুর সমাচার কে জানান, হ্যাঁ শুনেছি সুম্মা হারপিক পানে মারা গেছে। আগামীকাল লাশ পোস্ট মর্টেমের ব্যবস্থা করা হবে।

Total Page Visits: 778 - Today Page Visits: 3