দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানে পৃথক দুটি জানাযা নামাজ শেষে নিজ গ্রাম ঈশ্বরচন্দ্রপুর গোরস্থানে বাবা প্রয়াত চেয়ারম্যান সামসুল ইসলামের কবরের পাশে চির নিদ্রায় সায়িত করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের ঢল। আজ শুক্রবার বেলা ১২টার পর দাফন কার্য সম্পন্ন হয়।
পৌর মেয়রের মেজো ভাই দর্শনা সি এন্ড এফ এসোসিয়েশন সেক্রেটারি আতিয়ার রহমান জানান বড় ভাই দীর্ঘদিন লিভার সমস্যায় ভুগছিলেন,উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১০নভেম্বর ভারতের দিল্লী এ্যাপোলো হাসপাতালের লিভার স্পেশালিষ্ট ডঃ নিরব গোয়েল এর কাছে নেয়া হয়। মেডিক্যাল বোডের সিদ্ধান্তে জানায় নতুন ভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে। সাথে থাকা স্ত্রী রোজি রহমান স্বামীকে বাঁচাতে ৩০% লিভার সংযোজন করার জন্য তার লিভার দিতে রাজি হয়ে যান। ২৪ নভেম্বর এ্যাপোলো হাসপাতালে স্বামী স্ত্রী দুজনকে ১৭ ঘন্টা ধরে অস্ত্রপচার করার পর ৩৩ দিনের মাথায় মতিয়ার রহমানের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে দিল্লী এয়ারপোর্ট থেকে লাশ ঢাকায়, পরে শুক্রবার দর্শনায় জানাযা শেষে বাবা প্রয়াত চেয়ারম্যান সামসুল ইসলামের কবরের পাশে নিজ গ্রামে সমাহিত করা হয়।এ সময় চৃুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এম পি ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন, চৃুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এম পি হাজী আলি আজগার টগর,জেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মন্জু, জেলার ৪ উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ইউ পি চেয়ারম্যান সহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ দাফন কার্যে অংশ গ্রহন করেন।