শত্রুতামূলক পাউরুটির সাথে বিষ প্রয়োগ করে হতদরিদ্রের ৬ টি গাড়ল হত্যার অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী গ্রামে। গত শনিবার দিনগত রাত আনুমানিক নয়টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
বারাদী গ্রামের মঙ্গলের জামাতা মেহেরপুর শহরের বামন পাড়ার মৃত জবান শেখের ছেলে ছালিমুদ্দিন কটা শত্রুতামূলক পাউরুটিতে বিষ মাখিয়ে ভেড়ার ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঐ বিষ মাখানো পাউরুটি খেয়ে বিষক্রিয়ায় চারটি ভেড়া ছটফট করে মারা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বারাদী গ্রামের মৃত সদর উদ্দীনের ছেলে মঙ্গল মন্ডল পেশায় একজন ভিক্ষুক। বছর সাতেক আগে তার জমানো টাকা দিয়ে একটি গাভী গাড়ল ভেড়া কেনে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে সাংসারিক প্রয়োজনে গাড়ল বিক্রি করেও বর্তমানে তার খামারে বিভিন্ন বয়সী সতেরটি গাড়ল আছে। মাস দেড়েক আগে মঙ্গলের মেয়ে লিপা খাতুনের সাথে জামাতা ছালিমদ্দীন কটার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকেই কটা তাদের ক্ষতি করবে বলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসতো। মঙ্গলের ছেলে লালন অভিযোগ তুলে বলেন, আমার দুলা ভায়ের সাথে বোনের ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সে একদিন গোপনে আমাদের বাড়ীতে গাঁজা রেখে ডিবি পুলিশ পাঠিয়ে ছিল। কিন্তু পুলিশ গাঁজা খুঁজে না পাওয়ায় আমরা রক্ষা পায়। শেষমেশ সে আমাদের ক্ষতি করার জন্য পাউরুটিতে বিষ মিশিয়ে দিয়ে আমাদের গাড়ল গুলো হত্যা করে। লিপা বলেন, আমার স্বামী ছিল একজন মাদক ব্যবসায়ী। সে আমাকে দিয়ে জোর পূর্বক গাঁজা বিক্রি করাতে চাইতো। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমার উপর সে নির্যাতন চালাতো। তাই মাস দেড়েক আগে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ীতেই বসবাস করছি। কটা প্রতিশোধ নিতেই আমাদের এই ক্ষতি করেছে। মঙ্গলের স্ত্রী হত্যার অভিযোগ তুলে বলেন, কটা রাতের অন্ধকারে এসে গাড়লের ঘরে বিষ মাখানো পাউরুটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সেই পাউরুটি খেয়ে আমার গাবীন চারটি গাড়ল মারা যায়, এবং বাকি দুই টা গাড়ল আমরা জবাই করে ফেলি। এতে আমাদের প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
বিষ প্রয়োগে ভিক্ষুকের গাড়ল মারার অভিযোগ
Total Page Visits: 637 - Today Page Visits: 5