মুজিবনগর প্রতিনিধি।
বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্বধীনতার সূতিকাগার হিসেবে স্মৃতিসৌধে প্রতি বছরই বেড়াতে আসেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। মুজিবনগর পর্যটন এলাকা দেশের সকল মানুষের মাঝে পরিচিত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার।
মুজিবনগরকে আরও বেশী মানুষের কাছে পৌছে দিতে স্মৃতিসৌধের ছবি সম্বলিত কিছু সামগ্রীর উপর যেমন মগ, মাথার ক্যাপ, গেঞ্জির উপর প্রিন্ট করে দেওয়া হবে ব্যবসায়ীদের মাঝে। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভিতর ও আসে পাশের ব্যবসায়ীরা ও ক্ষেত্রবিশেষ অন্য ব্যবসায়ীরাও বিক্রয় করতে পারবে।
উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, মুজিবনগর উপজেলায় প্রতিবছর অনেক পর্যটক বেড়াতে আসেন এবং ক্রমান্বয়ে এসংখ্যা বাড়তে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসকল দর্শনার্থীরাই পারেন মুজিবনগরকে আরও অনেকের কাছে তুলে ধরতে, এই সম্ভাবনাকে আমরা কাজে লাগাতে চাই উপজেলা প্রশাসন।
এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন প্রথমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করে এবং ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার।
এবিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার জানান, আমরা চাই মুজিবনগর কে দেশের প্রতিটি মানুষ যেন জানতে পারে মুক্তিযোদ্ধা ইতিহাস কে।
আমরা প্রাথমিকভাবে মগ, মাথার ক্যাপ, গেঞ্জির উপর মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের ছবি সম্বলিত কিছু স্মৃতি তৈরীর উদ্যোগ নিই। আমরা মূলত অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছি। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কিছু সামগ্রী বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের হাতে মগ তুলে দিলাম। ঘুরতে আগত দর্শনার্থীরা সুলভ মূল্যে মুজিবনগর থেকে স্মৃতি হিসেবে প্রিয় মানুষদের জন্য এসমস্ত জিনিসগুলি শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে নিয়ে যেতে পারবেন। এসব সামগ্রী ব্যবসায়ীরা নিজের অর্থায়নে ক্রয় করে বিক্রয় করবে।
তিনি আরও বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি এবং মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান স্যারের প্রতি।
এ ধরনের উদ্যোগকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
মুজিবনগর স্মৃতি মানুষের কাছে পৌছে দিতে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে ইউএনও
Total Page Visits: 719 - Today Page Visits: 2