দির্ঘদিনের দলীয় কোন্দল মিটিয়ে এক কাতারে দাড়িয়ে নৌকার প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ। আগামী ১৫ জুন মেহেরপুর পৌরসভাসহ চার ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা নৌকার প্রচারে ব্যস্ত সময় সময় পার করছে। বিশেষ করে পৌর নির্বাচনকে ঘিরে মিটিং মিছিল, লিফলেট বিতরণ চালিয়ে যাচ্ছে নেতা কর্মীরা। দ্বিতীয়বারের মত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন। এর আগে রাজনৈতিক বিভক্তীতে অনেকটাই শক্তি হারিয়েছিল দলটি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সেই কোন্দল মিটিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করছে সবাই।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মিয়াজান আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকাকে বিজয় করতে আরমা কাধেকাধ মিলিয়ে কাজ করছি। আগামী ১৫ জুন নৌকা মার্কাকে জিতিয়ে ঘরে ফিরবো। একই সুর মিলিয়ে যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহীম শাহিন বলেন, নৌকার জয় সুনিশ্চিত করতে এক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বার্তা জনগনের দোড় গোড়ায় পৌছে দিচ্ছি। আশা করছি আগামী ১৫ জুন আমাদের জয় হবেই।
নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু। পৌর নির্বাচনে দ্বিমুখি লড়াই হলেও জনপ্রিয়তার দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে নৌকা মনোনিত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটন। গণসংযোগ আর প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। নৌকা মনোনিত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দ্বিতীয়বারের মত নৌকা দিয়েছেন, আমী সেই প্রত্যাশা পূরনে শতভাগ কাজ করে যাবো। মেয়র হিসেবে করোনাকালীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। পৌরবাসীর ঘরে-ঘরে পৌঁছে দিয়েছি চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। এখন সিদ্ধান্ত নেবেন ভোটাররা কাকে মেয়র বানাবেন। পৌরবাসীর ভালোবাসায় ইনশাল্লাহ আমি আবারো তাদের সেবা করার সুযোগ পাবো বলে আশা করছি। এছাড়াও তিনি বলেন, আমার বিপক্ষে যিনি ভোট করছেন এর আগে পৌরবাসীর ভোটাধিকার হরণ করেছিল সে। এটা পৌরবাসী ভুলে যায়নি। বিগত নির্বাচনেও সে নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছিল। কিন্তু জেতা তো দুরের কথা, তার জামানত বাতিল হয়েছিল। আসন্ন নির্বাচনেও তার জামানত বাতিল হবে।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু এখনো সেইভাবে জ্বলে উঠতে পারিনি। প্রচার-প্রচারনায় অনেকটাই ধির গতি। তারপরও জেতার শতভাগ আশা নিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। আমি মেয়র থাকা অবস্থায় অনেক অসমাপ্ত কাজ বাকি আছে। আল্লাহ যদি সহায় থাকে আমি আরও একবার পৌরবাসীর সেবা করতে চাই।
এদিকে পৌর নির্বাচনকে কেন্ত্র করে, ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বসতবাড়িতেও এখন আলোচনার বিষয় শুধু নির্বাচন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোট চেয়ে চষে বেড়াচ্ছেন তাদের নির্বাচনী এলাকা।