মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের কোমরপুর বাজারের সিটি ব্যাংকের এজেন্ট খাদেমুল ইসলামকে হত্যা ও টাকা ছিনতাই করার জন্য ৭ দিন আগে আমঝুপি নীলকুঠি এলাকায় ছিনতাইকারীরা বৈঠক করে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রহমান এ হত্যাকান্ড সম্পর্কে শুক্রবার সকাল ১১ টায় সাংবাদিকদের ব্রিফ কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাষ্টার মাইন্ড জুগিন্দা গ্রামের জনৈক্য ব্যক্তির পরিকল্পনায় হত্যাকান্ড ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তুল ও মোটরসাইকেল সরবরাহ করে ঐ মাষ্টার মাইন্ড।
তিনি আরো বলেন, তদন্তের জন্য মাষ্টার মাইন্ডের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
সিটি ব্যাংকের এজেন্ট খাদেমুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর বাজার থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে গাংনীতে আসার পথে মোটরসাইকেলে ঘাতক সুমন সহ অন্য দুজন ছিনতাইকারী তাকে অনুসরন করে। গাড়াডোব-আমঝুপি সড়কের ইসলামপুর পাড়া এলাকায় পৌছানোর পর খাদেমুল ইসলামের পথরোধ করার চেষ্টা করে। পথরোধ ও টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা ব্যার্থ হওয়ায় পিছন থেকে তাকে পিঠে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় টাকার ব্যাগ আকড়ে ধরে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাকারীরা পালিয়ে জুগিন্দা গ্রামের সেই মাষ্টার মাইন্ডের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে পোশাক পরিবর্তন করে অস্ত্র রেখে তারা চলে যায়। পরে বিভিন্ন তথ্য’র ভিত্তিতে শুটার মুজিবনগর উপজেলার টঙ্গিগোপালপুর গ্রামের সামসের আলীর ছেলে সুমনকে গ্রেফতার করে। পরে ৫ দিন রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট শাহিন রেজার আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে সুমন। তিনি আরো বলেন, দ্রত সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার ও মাষ্টার মাইন্ড সহ অন্য আসামীরা গ্রেফতার হবে।
উল্লেখ্য : গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কোমরপুর থেকে মোটরসাইকেল যোগে গাংনীতে আসার পথে খাদেমুল ইসলামকে গাড়াডোব-আমঝুপি সড়কে ইসলামপুরে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই আরফান আলী বাদী হয়ে কয়েকজন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ৩০। তারিখ ২৭-০৮-২০২১ ইং। নিহত খাদেমুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের মিনারুল ইসলামের ছেলে।
মেহেরপুরে খাদেমুল কে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা ৭ আগে থেকেই
Total Page Visits: 1237 - Today Page Visits: 2